সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন

ঢাকায় খোলা থাকবে যেসব দোকান ও শপিংমল

ঢাকায় খোলা থাকবে যেসব দোকান ও শপিংমল

ঈদ সামনে রেখে সরকার ব্যবসায়ীদেরকে দোকান ও শপিংমল খোলার অনুমতি দিলেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে অনেকেই জনস্বার্থে নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এর মধ্যেও ঢাকায় খোলা থাকছে বেশকিছু মার্কেট।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন জানান, রাজধানীতে বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনা করে বেশিরভাগ শপিংমল ও মার্কেট বন্ধ থাকলেও পুরান ঢাকার ইসলামপুর মার্কেট, চকবাজার, কেরানীগঞ্জ, যাত্রাবাড়ীর আয়েশা মার্কেট, ধানমন্ডির রাপা প্লাজা, ঢাকা নিউ সুপার মার্কেট এবং নগরীর এলিফ্যান্ট রোড এলাকার দোকানগুলো রোববার থেকে আবার চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

তবে ব্যস্ততম গুলিস্তান মার্কেট, বঙ্গবাজার, শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেট, পুরান পল্টনের পলওয়েল মার্কেট এবং মিরপুর এলাকার মার্কেটগুলোসহ রাজধানীর বেশিরভাগ শপিংমল ও মার্কেট ঈদ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে তিনি জানান।

এর আগে, বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স, যমুনা ফিউচার পার্ক, ঢাকার সবচেয়ে ব্যস্ততম নিউমার্কেট, মৌচাক, আনারকলি মার্কেট কর্তৃপক্ষ তাদের মার্কেট না খোলার সিদ্ধান্ত নেয়।

এদিকে বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) নগরবাসীকে সরকার ঘোষিত সময়সূচী ও স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে স্ব স্ব এলাকার দুই কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত মার্কেট থেকে তাদের ঈদের কেনাকাটা শেষ করার আহ্বান জানিয়েছে।

এছাড়া প্রতিটি শপিংমলের প্রবেশপথে স্বয়ংক্রিয় জীবাণুনাশক টানেল বা চেম্বার স্থাপন এবং প্রতিটি দোকানে পৃথক তাপমাত্রা পরিমাপ ব্যবস্থা রাখার নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি।

এর আগে গত মঙ্গলবার, সাধারণ ছুটির দিনগুলোতে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নির্দেশনা বজায় রেখে ব্যবসায়ীদের রবিবার (১০ মে) থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টার জন্য দোকান ও শপিংমল খোলা রাখার অনুমতি দেয় সরকার।

দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় সরকার আগামী ১৬ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটির মেয়াদ বাড়িয়েছে। এছাড়া ৩০ মে পর্যন্ত বাংলাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, পোশাক কারখানা, শপিংমল ও দোকান পুনরায় চালু করা হলে করোনা সংক্রমণের হার কিছুটা বেড়ে যেতে পারে।

ঈদের আগে দোকান ও শপিংমলগুলো পুনরায় চালু হলে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও।

এখন পর্যন্ত ১৩ হাজার ৭৭০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত এবং ২১৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। সূত্র : ইউএনবি

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877